শনিবার রাত ৯:২৮

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ গ্রীষ্মকাল

‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী সিআইডির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপরই তদন্ত এবং সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গুলশান এলাকা থেকে সাদিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হবে। 

সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চক্রটি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কানাডা কিংবা আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত ডিভোর্সি সুন্দরী ব্যবসায়ী পাত্রীর জন্য ব্যবসা করতে ইচ্ছুক এরকম পাত্র খোঁজার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মো. নাজিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি মোবাইলে সাদিয়া জান্নাতের সঙ্গে কথা ও দেখা করেন। ১২ সেপ্টেম্বর গুলশানের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে তাদের মধ্যে কথা হয়। এ সময় নাজিউর বিদেশ যেতে এবং বিয়ে করতে সাদিয়ার কাছে তার পাসপোর্ট এবং ১৫ লাখ টাকা দেন। পরবর্তীতে সাদিয়া তাকে বিদেশ না পাঠিয়ে বলেন কানাডায় এখন শীত। এ কারণে আপাতত সেখানে না যাওয়াই ভালো। তবে কানাডাতে তার (সাদিয়া) ২০০ কোটি টাকা রয়েছে। এই টাকা দেশে এনে নাজিউর এবং সাদিয়া ব্যবসা করবেন বলে জানায়। এই প্রলোভন দেখিয়ে নানা ট্যাক্স এর কথা বলে সাদিয়া নাজিউরের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় এক কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করে সাদিয়া নম্বরটি বন্ধ করে দেন। এক সময় নাজিউর সিআইডির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে সাদিয়ার এ প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাকে আরও টাকা দেওয়ার কথা দেয় সিআইডি পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া সাদিয়া বিভিন্ন সময় কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ডিভোর্সি বা প্রতিষ্ঠিত নারীদের অবস্থান নিশ্চিত করে পত্রিকায় চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে আরও একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সিআইডি জানতে পেরেছে, কুমিল্লার দেবিদ্বারের সাদিয়া দীর্ঘ ১১ বছর ধরে প্রতারণা কৌশলের জাল বুনছেন। দেখতে স্মার্ট, পোশাক ও কথাবার্তায় তিনি নিজেকে কানাডার নাগরিক হিসেবে সব সময় জাহির করার চেষ্টা করতেন। প্রতারণার জন্য তিনি ব্যবহার করতেন মোবাইলের একাধিক সিম কার্ড। এসব সিমের মাধ্যমে তিনি টার্গেটকৃত ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর বন্ধ করে দিতেন। তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত ৩টি সিম ও ১০টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। 

সিআইডি পুলিশ জানায়, সাদিয়ার বর্তমান স্বামীর নাম এনামুল হক জিহাদ। সাদিয়া প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে জিহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তারা দুজনে মিলে এই প্রতারণার ফাঁদ পেতে নগদ টাকা ছাড়াও তাদের নামে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি করেছেন।







© সকল স্বত্ব- সমাজ নিউজ -কর্তৃক সংরক্ষিত
২২ সেগুনবাগিচা, ৫ম তলা, ঢাকা- বাংলাদেশ।
ই-মেইল: news@somajnews.com, ওয়েব: www.somajnews.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

ডিজাইন: একুশে